
১২ মাসি কাটিমন চাষ করে অনেকটাই সফল হয়েছেন নাটোরের কৃষক মারুফ হোসেন। যদিও এই ১২ মাসি কাটিমন আম নিয়ে রয়েছে নানা ব্যর্থতার গল্প। অনেকে তো চারা বিক্রেতাদের নামে মামলাও করতে চেয়েছিলেন এমনটিও শোনা যায়।
তবে নাটোরের মারুফ হোসেনের এই বাগানটি দেখলে কাটিমন নিয়ে আশা করা ভুল কিছু হবে না। মারুফ হোসেন তার বাড়ির পাশের ১০ কাটা জমিতে ৬৩টি কাটিমনের চারা রোপণ করছিলেন ২০২০ সালের শুরুতে। গাছ গুলোর বর্তমান বয়স দেড় বছর। অফ সিজনেও গাছে ধরে আছে থোকায় থোকায় আম আবার আম ধরা গাছেই বিভিন্ন ডালে এসেছে নতুন মুকুল যা দেখলে যে কারোরই মন ভরে যাবে। তিনি তাঁর এই বাগান থেকে ইতিমধ্যেই ৫ মন আম বিক্রি করেছেন। গাছে আম রয়েছে এখনও মন দুইয়েক। আশা করছেন আমগুলো বিক্রি হবে বেশ ভালো দামে।
চাষী মারুফ হোসেন কৃষি জীবনকে বলেন, আমি ইউটিউবে প্রথম এই আমটি দেখেছি। তারপর আমার ইচ্ছা জাগে এই আমটি চাষ করার। সে বছরই চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থেকে ৬৩ টি গাছ এনে আমার বাড়ির পাশের এই জমিতে রোপণ করি। ৬৩ টি গাছের ভিতর ৬০ টি গাছ টিকে এবং লাগানোর ২ মাস পর থেকেই গাছে আম ধরে।
তিনি আরও বলেন, প্রথমবার রমজান মাসে আম এসেছিল, সেই সময় ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি করেছিলাম। আর এখন অন্যান্য আম থাকায় ১৫০–২০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। পরিচর্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অন্যান্য গাছের মতোই এই গাছগুলোকে রোপন করেছি। সচরাচর ব্যবহৃত কিটনাশকের বাহিরে তেমন কিছুই ব্যবহার করি নাই। শুধু নিয়মিত গাছ গুলোকে পরিস্কার ও জৈব সার প্রয়োগ করেছি।
এ বিষয়ে নাটোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মেহেদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি কৃষি জীবনকে বলেন, ১২ মাসি এই কাটিমন আমটি ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। আমার মনে হয় অন সিজনে আম না নিয়ে গাছের পুরোপুরি যত্ন যদি করা যায় তাহলে এই আমটির ফলন ভালো হতে পারে।
কাটিমনের চারা নিয়ে অনেকেই তো প্রতারিত হচ্ছে, এই বিষয়ে আপনাদের কি পদক্ষেপ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাটিমনের চারা নিয়ে প্রতারিত হয়েছে এমন অভিযোগ আমাদের কাছে এ পর্যন্ত কেউ করেনি। তবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ চারা নিয়ে অনেকেই প্রতারিত হয়েছে। তাই আমরা নাটোর সদর উপজেলার প্রতিটি চারা বিক্রয় কেন্দ্র ও নার্সারিতে বিশেষ নজরদারি রাখছি, যাতে এই চারা নিয়ে কেউ প্রতারণা করতে না পারে।
Be the first to comment